
২০২২ সালের ১১ অক্টোবর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজত শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন পলাশী পাড়ার বিধায়ক।
একসময় কনভয় সঙ্গে নিয়ে অফিসের বিশেষ গাড়িতে চড়ে বিধানসভায় (West Bengal Legislative Assembly) আসতেন তিনি। মাঝে ২৩ মাস জেলবন্দি ছিলেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশী পাড়ার সেই তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) শুক্রবার দেখা গেল ক্যাবে করে বিধানসভায় আসতে!

শুধু তাই নয়, এদিন বিধানসভার মধ্যে ভাড়া করে ক্যাব কেন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না, তা নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসাতেও জড়িয়ে পড়েন মানিকবাবু। হারান মেজাজও। গাড়ি থেকে নেমে রক্ষীদের সঙ্গে তর্কাতর্কির মধ্যে মার্শালকে ফোনও করেন তিনি।
পরে মানিকবাবু বলেন, “আমার পা ভাঙা, সেই জন্য স্পিকারের কাছ থেকে প্রাইভেট গাড়ি ভেতরে ঢোকানোর অনুমতিও নিয়ে রেখেছি আগে থেকেই। তবু রোজ আটকানো হচ্ছে।”
২০২২ সালের ১১ অক্টোবর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজত শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন পলাশী পাড়ার বিধায়ক। ২৩ মাস জেলবন্দি থাকার পর জামিনে মুক্তি পান।
একসময় বিধায়ক ও এসএসসির চেয়ারম্যান পদে থাকার কারণে তিনি কনভয় নিয়ে বিধানসভায় আসতেন। এখন শুধুই বিধায়ক। শুক্রবার তাঁকে ক্যাব ভাড়া করে বিধানসভায় আসতে দেখা যায়। বিধানসভার নিয়ম অনুযায়ী, বিশেষ অনুমতি ছাড়া ওলা, উবারের মতো গাড়িকে বিধানসভার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয় না। ফলে মানিকবাবুর ভাড়া করে ক্যাবের চালককে গেটেই আটকে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তা দেখে দূর থেকে মানিক বলতে থাকেন, “ওকে ছেড়ে দিন, স্পিকারের অনুমতি নেওয়া আছে।”
যদিও নিরাপত্তারক্ষীরা প্রথমে মানিকবাবুর ভাড়া করে ক্যাবের চালককে আটকে দেন। বেশ কিছুক্ষণ পর গাড়িটিকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মানিকবাবু বলেন, “অনুমতি আগে থেকেই নেওয়া ছিল, তা সত্ত্বেও এভাবে আটকানো হল কেন?”
তখন এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, “এটা আমাদের নিয়ম”। এতে মেজাজ হারান। গাড়ি থেকে নেমে ওই রক্ষীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেও জড়িয়ে পড়েন এক সময়ের এসএসসির দাপুটে চেয়ারম্যান। এরপর মার্শালকেও ফোন করেন তিনি।