
‘
কলকাতা: ইয়েস ব্যাংক, সত্যম রায়চৌধুরী ফাউন্ডেশন এবং রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা মেট্রোপলিটান ইস্ট আজ কলকাতার জি ডি বিড়লা সভাঘরে ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর উদ্যোগ ‘সবার পুজো, দুর্গাপুজো’-র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করল। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর সত্যম রায়চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক, এনজিও, বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতা, রোটারি সদস্য এবং পার্টনার সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।
এবছর এই ক্যাম্পেন পিছিয়ে পড়া শিশুদের মধ্যে ৯,০০০ নতুন জামাকাপড় বিতরণ করছে। এর মাধ্যমে এই ক্যাম্পেন হয়ে উঠেছে পূর্ব ভারতে এই ব্যাংকের সবচেয়ে বড় গোষ্ঠীচালিত সিএসআর প্রকল্পের অন্যতম। গ্রাহক, কর্মচারী, স্কুল, কর্পোরেট, আবাসিক গোষ্ঠী এবং স্থানীয় সংগঠনগুলো নিজেদের অবদান রেখেছে। এই ঘটনা অন্তর্ভুক্তির যৌথ মেজাজের প্রতিফলন।
১৫ অগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ইয়েস ব্যাংকের ৩৮ খানা শাখায় এবং ২৫ খানা স্কুলে চলা এই ক্যাম্পেন ডিজাইন করা হয়েছিল দুর্গাপুজোর আনন্দকে ব্যাংকের অন্তর্ভুক্তি ও গোষ্ঠী সংযোগের সিএসআর লক্ষ্যের সঙ্গে যুক্ত করার মত করে। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বেশি উদযাপিত উৎসবগুলোর অন্যতম হল দুর্গাপুজো। এটা ভক্তি, একাত্মবোধ এবং সাংস্কৃতিক গৌরবের সঙ্গে সমার্থক। এই উৎসবের সবচেয়ে সযত্নে লালিত প্রথা হল নতুন জামা পরা, আর ‘সবার পুজো, দুর্গাপুজো’ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বলতর অংশের বাচ্চাদেরও উৎসবের এই আনন্দে অংশ নেওয়া নিশ্চিত করেছে।
এই উদ্যোগ সম্পর্কে ইয়েস বাংকের চিফ মার্কেটিং অফিসার অ্যান্ড হেড সিএসআর বললেন “দুর্গাপুজো বরাবরই একাত্মবোধ, আনন্দ ও অন্তর্ভুক্তির উদযাপন। ‘সবার পুজো, দুর্গাপুজো’ সুন্দরভাবে সেই মেজাজকে তুলে ধরে। নতুন জামাকাপড় পরার আনন্দ উপভোগ করার মত সরল প্রথা এই উৎসবে প্রচলিত, প্রত্যেক শিশু যাতে সেটা পালন করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্যে এ এক সামান্য অথচ সদর্থক পদক্ষেপ। বিভিন্ন গোষ্ঠী থেকে অবদান আসায় এবছর আমরা যে বিপুল সাড়া পেয়েছি, তা আরও একবার প্রমাণ করল যে কত গভীরভাবে এই উদ্যোগ বাংলার সাংস্কৃতিক কাঠামোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এই উৎসব উপলক্ষে ইয়েস ব্যাংকের একান্তভাবে পশ্চিমবঙ্গের জন্যে নিযুক্ত আঞ্চলিক টিম আমাদের উদ্ভাবনীমূলক আর্থিক প্রোডাক্ট, ডিজিটাল সমাধান ও শাখা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্মানীয় গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ।”
ইয়েস ব্যাংকের বৃহত্তর সামাজিক সংযোগ ও সিএসআর কৌশলের অঙ্গ হল এই উদ্যোগ। এর ফোকাস অন্তর্ভুক্তি লালন করা, সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশগুলোকে সাহায্য করা এবং যৌথ সাংস্কৃতিক উদযাপনগুলোর মধ্যে দিয়ে দৃঢ়তর সামাজিক বন্ধন তৈরি করার উপর।